ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : ত্রিপুরার বিশালগড়ে জাল টাকা ছাপার মেশিন, কালি কাগজ সহ ধৃত বাংলাদেশি যুবক। হাতেনাতে ধরা পড়ে ভারতীয় জাল টাকা তৈরীর মেশিন, কালি ,কাগজ, ও জাল টাকাসহ বাংলাদেশি এক যুবক । ধৃত যুবকের নাম শিপন রায়। ঘটনাটি ঘটে আজ সকাল বেলা বিশালগড় থানাধীন লাল সিং মুড়া এলাকায়। ঘটনার বিবরণে এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় ভারতীয় জাল টাকার হদিস পাওয়া যায়। বিভিন্ন দোকানপাটে প্রায় সময়ই জাল টাকা ধরা পড়ে। এলাকার কোথাও না কোথাও জাল টাকার চক্র রয়েছে বলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলেও হাতেনাতে কাউকেই ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে বাজার কমিটির লোকসহ স্থানীয় যুবকরা উৎপেতে বসেছিল এই জাল টাকা কারবারীদের ধরার জন্য।তাদের সন্দেহ হয়েছিল শিপন রায় নামে একজন যুবক বাংলাদেশ থেকে এসে লাল সিং মুড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের প্রাক্তন প্রধান শিল্পী মজুমদারের বাড়িতেই থাকতো । শিপন রায়ের স্ত্রী ও বাংলাদেশ থেকে গত বছর দিন আগে লাল সিংহমুড়া এসে স্বামীর সঙ্গে থাকেন। এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়েছিল তাদের চালচলন দেখে ও টাকা খরচের বহর দেখে তাদেরকে সন্দেহের তালিকায় রেখে জাল বিছায় স্থানীয়রা। আজ সকাল বেলা টিফিন এর দোকানে একজনকে শিপন রায় জালনোট দিতেই তাকে ধরে ফেলা হয়। এবং চাপ সৃষ্টি করা হয় কোথায় থেকে এই জাল টাকার নোট সে পেল। খবর দেওয়া হয় বিশালগড় থানায় ।ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসী তার বাড়িতে গিয়ে হানা দিয়ে জাল টাকা তৈরীর বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে ।একটি ছাপার মেশিন, কয়েকটি কালির বোতল, কাগজ সহ কিছু জাল টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। নতুন ছাপার মেশিনটি মার্চ মাসের ৯ তারিখ ক্রয় করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ অবৈধ ভারতীয় জাল নোট কারবারি শিপন রায়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা প্রাক্তন সিপিএম এর প্রধান শিল্পী মজুমদারের বিরুদ্ধে তৎকালীন বাম আমলে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছিল ।কিন্তু তৎকালীন শাসক দলের প্রধান হওয়ার সুবাদে কেউ কিছু করতে পারেনি। তারাও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বেশিদিন হয়নি। আর তাদের তত্তাবধানেই নাকি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী অবৈধ কারবারি ও কিছু দুষ্কৃতী আসা-যাওয়া করেন। এলাকাবাসী জানায় বর্তমানেও আরো ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল এই এলাকায় রয়েছে ।এরা সবাই বাংলাদেশি। এদের কাজ ই এসব দুই নম্বরি কাজ করা। যদিও শিপন রায় তার ভারতীয় কাগজপত্র বলতে শুধুমাত্র একটি আধার কার্ড দেখান। যেটি আবার কলকাতার । বর্তমানে জাল টাকা ছাপার বিভিন্ন সামগ্রীসহ ধৃত শিপন রায় বিশালগড় থানা হেফাজতে রয়েছেন।